আমার যতো দোষ
আমি নদীর ঘাটে যাই। উর্মিমালা দেখি। বাঁশি বাজাই…।
নৌকায় চড়ি বা বনপথে হাঁটি- যা-ই করি, লোকেরা হাসে।
ঘরহারা
রাতের দ্বিপ্রহরে ভেসে আসছে ষাড়ব, ষড়ৈশ্বর্য সুর, ব্যথার বাঁশি।
এখন আমি ঘরহারা…
আমার কেউ নেই
সবাই যাচ্ছে যে যার রাস্তা ধরে, পূর্ব থেকে পশ্চিমে
দিগন্তের শেষ বেলাভূমিতে।
আমার কেউ নেই।
আমি একেলা- আমার চারপাশে আছড়ে পড়ছে বিষণ্ন সন্ধ্যা…
বদনাম
মিথ্যে বদনাম ও অযাচিত কলঙ্ক দিয়ে সে রাস্তায়-
দিগন্তশেষে হেঁটে গেলো অবারিত রৌদ্দুরে।
বিরহের পেয়ালা
বিরহের পেয়ালায় চুমুক দিয়ে আমি পথ হারিয়ে ফেলেছি।
এখন তোমরাই বলো, শুঁড়িখানা কোথায়,
আর আমি যাবোই বা কোনদিকে?
আমার যে কলঙ্ক হবে !
দাগ
রোদে ঘুড়ি উড়াতে গিয়ে আমি আহত হয়েছি।
ফিনকি দিয়ে ঝরেছে কিছুটা রক্ত-
এখন দেখি হৃদয়ে খঞ্জরের দাগ…
একসাথে ধ্বংস আর বর্ধিষ্ণু গ্রাম
হ্যাঙ্গারে ঝুলে আছে বিশাল টি-শার্ট
বন্দুকে ঝাঁঝরা করা বুক-
আর বুকের ভেতরে মাটিতে দেখা যায় অসংখ্য লাশ।
না, এ লাশ নয়; সবুজের পতাকায় মেশানো
মানুষের মুখ- পাতায় মোড়ানো হাত-নাক
চোখের অর্ধেক
পা-গোড়ালি-
যেনো একটা সবুজ গ্রামের পাশে মরা ধানক্ষেত
কাঁটাতার ধর্ষণ ও রাইফেল… তারপর নদী
এবঙ আরো দূরে বাতাসে মিশে আছে
ভাঙা রেলগাড়ি
রৌদ্দুর-
যেনো যুদ্ধ; একসাথে যুদ্ধ আর আমাদের বর্ধিষ্ণু গ্রাম।
বিষয়সমূহঃ
পূর্বের সংবাদ
পরের সংবাদ